আল আমিন কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রামমোহন কলেজে বদলি করা হল তাঁকে। শুক্রবারই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সাক্ষাতের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে সরিয়ে দেওয়া হল বৈশাখীকে। তবে ফিরহাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই বিপাকে পড়তে হল তাঁকে?। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।
ওইদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে আল আমিন কলেজে হেনস্তার অভিযোগ তুলে ছিলেন বৈশাখী। বদলির সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ তিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন বৈশাখী। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকমাস ধরেই অচলাবস্থার মুখে মিল্লি আল আমিন কলেজ। যার জেরে অধ্যক্ষার পদ থেকেও ইস্তফা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অভিযোগ, ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসতে পারছেন না, বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না অধ্যাপকরা। এসবের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে কলেজের সামনে ধরনায় বসেছেন একদল পড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে টিচার-ইনচার্জকে সমূলে উৎখাত করার মতো মন্তব্যও করেন ফিরহাদ। শুক্রবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি অপমানজনক এবং সাম্প্রদায়িক বলে চিহ্নিত করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই এমন সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।