মাঝেরহাট ব্রিজ চালুর দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভে রণক্ষেত্র তারাতলা চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত নাজেহাল পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে বিজেপি কর্মীদের মাথা ফেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

একদিকে যখন বাম-কংগ্রেস তাদের ডাকা বনধ সমর্থন করতে মরিয়া ঠিক তখনই দ্রুত মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করতে হবে, এই দাবিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার তারাতলায় মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা সেখানে জমায়েত হতে শুরু করলেই তাদের ওপর হামলা করে পুলিশ।
এদিন দুপুরে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা- কর্মীরা। পরে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।

অভিযোগ, পুলিশের ওপর ইট বৃষ্টি করতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তারপরই পুলিস পাল্টা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। পুলিসের লাঠির ঘায়ে বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। আহতদের মধ্যে মহিলা কর্মীও রয়েছেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এদিকে, পুলিশের তাড়া খেয়ে বেশ কিছু বিজেপিকর্মীরা আশেপাশের গলিগুলিতে ঢুকে পড়েন। এরপরই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। রীতিমত টেনে হিচরে বিজেপি কর্মীদের আটক করে। বেশকয়েকটি বাসে তুলে আটক করো নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বেশকিছুসময় ধুন্ধুমার চলার পর গোটা এলাকার দখল নেয় পুলিশ। ঘটনার বেশকিছুপরে ঘটনাস্থলে যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তারাতলায় পৌঁছলে গ্রেফতার করা হয় বিজেপের রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে গ্রেফতার বরণ করে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। মহিলাদের গায়ে পুলিশ হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হয়েছে।আর তাই পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।