দেশ জুড়ে চলতে থাকা এই করোনা আবহে এক ভয়াবহ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছবি দেখল জয়পুর। করোনায় মৃতের দেহের প্লাস্টিকের আবরণ খুলে চলল কবর দেওয়ার কাজ। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন প্রায় ১৫০ জন মানুষ। অবশ্য কোভিড বিধি শিকেয় তুলে এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলও মিলল হাতে নাতে। গ্রামে ইতিমধ্যেই মৃত ২১ জন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরের শিখর জেলার খিরভা গ্রামে।

করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ থেকেও ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমন। তাই করোনায় কারও মৃত্যু হলে প্লাস্টিকে বিশেষ ভাবে মুড়িয়ে তবেই দেওয়া হয় দেহ। কিন্তু সমস্ত নিয়মকানুন ভেঙে সেই প্লাস্টিক খুলে মৃতদের বের করে চলল সৎকারের কাজ। শেষকৃত্যের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় ১৫০ মানুষ। এমনকি মৃতদেহ ছুঁয়ে আশীর্বাদও নেন অনেকে।এই ঘটনার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ২১ জনের।
যদিও গ্রামবাসীরা ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও স্থানীয় আধিকারিকদের দাবী, ২১ নয় মাত্র ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমনে। বাকি সবাই মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ এপ্রিল করোনা আক্রান্তের ম়ৃতদেহ রাজস্থানে খিরভা গ্রামে নিয়ে আসা হয়। প্রশাসনের তরফে কোভিডবিধি মেনেই প্লাস্টিকের বিশেষ প্যাকেটে মুড়িয়ে মৃতদেহ পাঠানো হয়। কিন্তু দেহ সৎকারের সময় গ্রামবাসীরা কোনও নিয়মই মানেননি।

এই ঘটনার পরই একে একে মৃত্যু শুরু হয় গ্রামে। লক্ষণগড় সাব-ডিভিশনের অফিসার কুলরাজ মিনা বলেন, “২১টি মৃত্যুর মধ্যে কেবল ৩-৪ জনের মৃত্যুই করোনার কারণে হয়েছে। অধিকাংশ মৃত ব্যক্তিই বয়স্ক ছিলেন। গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা জানতে আমরা মোট ১৪৭জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এছাড়াও গোটা গ্রাম স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের করোনা সংক্রমণ ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কেও বোঝানো হয়েছে।” শিখর মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চৌধুরী জানান “আমরা এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছি। রিপোর্ট এলেই তবেই কিছু বলা সম্ভব হবে”। অন্যদিকে রাজস্থানের কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ সিং এই বিষয়ে ট্যুইট করলেও পরে ডিলিট করে দেন তা।