আজ দুপুরে কিছুটা আচমকাই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। আজ দুপুর দুটো নাগাদ রাজ্যসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়ার জন্যই পদত্যাগ করলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে শোভনদেব জানান ” আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আছেন উনি। আমার ইচ্ছা এখান থেকেই লড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে তাঁর সহজে জিতে আসা ভীষণ জরুরি। আর এরপর দল আমার জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো মাথা পেতে নেব। তবে বাংলাতেই থাকতে চাই।”
নিজের নিয়ম ভেঙে এবার ভবানীপুর কেন্দ্রের বদলে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখার জন্য ছয় মাসের মধ্যেই কোনো একটি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে তাঁকে। সেই কারণেই তাঁর জয়কে আরও সহজ করতে ভবানী থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে বিপুল সংখ্যক ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন শোভনবাবু। এবার তৃণমূলের তরফে তাঁকে খড়দহ কেন্দ্র থেকে মৃত কাজল সিনহার ফেলে যাওয়া আসনেই দাঁড় করানো হবে,এমনটাই জল্পনা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।