আবার জয় ব্রাজিলের। কোপা আমেরিকা কাঁপিয়ে দিচ্ছে এই দল। ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ ছিল ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও পরপর তিন গোল দিয়ে জয়ী হয়েছিল ব্রাজিল। গতকালের ম্যাচেও স্কোরবোর্ড ছিল ব্রাজিলেরই পক্ষে, ৪-০ এ হারালো পেরুকে। প্রথমার্ধে যে ব্রাজিল খুব আগ্রাসন নিয়ে যে ছুটেছে তা কিন্তু নয়। বরং পেরুর বেশ কয়েকটা শক্তিশালী আক্রমণ করে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ১১ মিনিটের মাথায় খেলার গতি বেড়ে যায়, আক্রমণে যায় ব্রাজিল, বাঁ দিক দিয়েই করে সঙ্গবদ্ধ আক্রমণ। ভেসে আসা সেন্টার হেড ফ্লিপ গিয়ে পড়ে গ্যাব্রিয়াল জেসুসের পায়ে। আর সেই বল দুরন্ত ইনস্টিপে জালে গলিয়ে দেয় আলেক সান্দ্রো।
এর পরেই দুরন্ত আক্রমণ শানাতে থাকে পেরুর খেলোয়াড়রা। ২০-২১ মিনিট পর্যন্ত ভরাট করে আক্রমণ করতে থাকে পেরু। আক্রমণ রুখতে ব্রাজিলের প্রায় সমস্ত খেলোয়াড় নেমে আসে নিজেদের বক্সে। তবে এই দুরন্ত আক্রমণ একের পর এক ফিরিয়ে দেয় থিয়েগো সিলভারা। কোনোভাবেই পেরুর আক্রমণকে দলের ওপর চেপে বসতে দেয় না। ১-০ এই শেষ হয় প্রথমার্ধ। ১ গোলে এগিয়েই বিশ্রাম নেয় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল নিও এক অন্য রূপ, হয়ে গেল আরও আক্রমণাত্মক। দ্বিতীয়ার্ধে নেমাররের মধ্যেও দেখা গেল আগের তুলনায় আরও আগ্রাসন। বল পায় শুরু হল পেরুর রক্ষণভাগকে ধূলিসাৎ করা। নিজেদের মধ্যে খেলে বার বার হতে থাকলো পেরু বক্সে আক্রমণ। ৬২ মিনিটের মাথায় পেরু বক্সের মধ্যে নেমারকে ফাউল করা হয় ও পেনাল্টি দে রেফারি। কিন্তু রিভিউ নেওয়ার পর পেনাল্টি বাতিল করতে হয় রেফারিকে। পেনাল্টি বাতিল হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই দুর্দর্শ গোল করে নেমার জুনিয়র। ৮৮ মিনিটে আবার তৃতীয় গোলটি জোটে ব্রাজিলের। নেমারের সুন্দর পাস্ থেকে বল যায় রিচার্লিসন কাছে ও সেখান থেকে গোলে বল জড়ায় রিবেইরোর পা। তৃতীয় গোল হয়ে যাওয়ার পরও ক্লান্ত হয় না ব্রাজিল শিবির। অতিরিক্ত সময় শেষ গোল করে রিচাৰ্লিসন অন্তিম পেরেক পোঁতে।