
করোনাভাইরাসের এই দ্বিতীয় স্ট্রেনে ভারতবর্ষ প্রতিনিয়ত নতুন কেসের সম্মুখীন হচ্ছে, যদিও প্রতিদিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কুড়ি হাজারের নিচেই রয়েছে । বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১১,০৪৬,৯১৪ । ২৪ থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭৩৮ জন। এই স্ট্রেন প্রভাব ভারতবর্ষের পাঁচটি রাজ্যকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভারতে যে হার্ড ইমিউনিটির কথা বলা হয়েছে তা আদতেও বাস্তবায়িত নয়। অন্যদিকে করোনার পরীক্ষা পদ্ধতি উন্নত করতে এবং যাতে তা তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায় তার কারণে বৈজ্ঞানিকদের তরফ থেকে একটি স্ট্যাম্প সাইজের চিপ তৈরি করা হয়েছে যাতে কোভিড নাইনটিন টেস্টের ফলাফল ৫৫ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যাবে । এর ফলে ব্যক্তির রিপোর্ট তাঁর স্মার্টফোনে পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই ৪৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সসীমার ব্যক্তিদের কোন রকম উপসর্গ থাকলে তাঁদের জন্য ডাক্তারি সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে ,যার মাধ্যমে সেই ব্যক্তির শরীরে কোন রোগ রয়েছে কিনা এবং কোন রোগ থাকলেও তা ইনফেকশন তৈরি করতে পারে কিনা তা বোঝা যাবে।

অন্যদিকে সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে ভ্যাকসিন প্রদানের কর্মসূচি । ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে অনেকেই ভালো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ঠিক তেমনি একজন ৬১ বছর বয়সি নার্সিংহোম কর্মচারী জানিয়েছেন যে তিনি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের তরফ থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের জন্য একটি দীর্ঘ সময়ব্যাপী শারীরিক চিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ।
আমেরিকান নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর নিজেই করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন এবং তারপর থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের শরীরে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে । বাইডেন সরকারের তরফ থেকে আশা করা হয়েছে আগামী ১০০ দিনের মাথায় এই ভ্যাক্সিনেশনের সংখ্যা ১০০ মিলিয়নে পৌঁছাবে।

এদিকে ভারত সরকারের তরফে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করার কথাই ভাবা হচ্ছে । যা সংক্রমণের হার কমাতে সহায়তা করতে পারে। ওদিকে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের গ্রুপের ব্যক্তিদের মধ্যে কারা কারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে এখনও কোনও বিশেষ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি তবে রনদীপ গুলেরিয়ার একটি বিবৃতিতে জানা গেছে, যে সমস্ত ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ বর্তমান তাঁরাই প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন।