বাধা কাটিয়ে রবিবার হতে চলছে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির(NTA) দাবিমতো, এবছর NEET পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
আর করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ওইসব পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চরম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ২,৫৪৬ সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৩,৮৪৩। প্রতিটি রুমে বসানো হবে মাত্র ১২ জন পরীক্ষার্থীকে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দু’বার পিছিয়ে দেওয়া হয় NEET। প্রথমে পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল ৩ মে। পরে সেই তারিখ বাতিল করে ২৬ জুলাই করা হয়। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি তুঙ্গে থাকায় সেই তারিখও বাতিল করা হয়। শেষপর্যন্ত ঠিক হয় পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৩ সেপ্টেম্বর।
এনিয়ে বহু মামলা হয়েছে, রাজনৈতিক চাপানউতোরও হয়েছে প্রচুর।ন্যাশন্যাল টেস্টিং এজেন্সি সূত্রে খবর, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরীক্ষার্থীদের ঢোকা ও বের হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে সহজে পৌঁছতে পারেন তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত রাখা থাকবে যা পরীক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারেন। সংক্রমণ এড়াতে পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড হাতে হাতে পরীক্ষা করার পরিবর্তে বারকোড দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলে তাদের থ্রিপ্লাই মাস্ক দেওয়া হবে।নিজেদের মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন না তাঁরা।