এখনও করোনার দাপট কমেনি। ভ্যাকসিনও এখনও বাজারে আসেনি। তবে প্রতিটি ভ্যাকসিন প্রস্ততকারক সংস্থাই আগামী বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিন মেলার আশ্বাস দিয়েছেন। আর এই ভ্যাকসিন বের হলে কীভাবে বন্টন হবে রাজ্যগুলিতে, সেনিয়ে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি পশ্চিমবঙ্গ সহ মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং কেরালার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-24-at-5.11.55-PM.jpeg)
মূলত করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় টেউ রোখা এবং করোনার টিকা বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদি। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
কেন্দ্রীয় অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) তথা কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল-সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা মোদিকে জানান, ‘‘টিকা পেলেই দ্রুত বন্টনের জন্য আমরা কেন্দ্র এবং অন্য সব সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।’’ পাশাপাশিই তিনি জানিয়েছেন, টিকা রাখার জন্য কোল্ড চেইন-সহ যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তাও রাজ্যের রয়েছে। তবে ওই বৈঠকে রাজ্যের ‘বকেয়া অর্থ’ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ারও পক্ষে সওয়াল করেছেন মমতা। বৈঠকে বাকি সাত রাজ্য অবশ্য এবিষয়ে মুখ খোলেনি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-24-at-5.11.57-PM.jpeg)
এদিন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে আছে দাবি করার পরও মমতা জানান, “করোনা নিয়ে রাজ্যে এখনও সচেতনতার অভাব আছে। অনেকেই করোনা বিধি শিকেয় তুলে মাস্ক পরছেন না।” এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু উত্তর ২৪ পরগনার মানুষ মাস্ক পরছেন। বাঁকুড়ায় কেউ সতর্ক হচ্ছেন না। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে মহামারী চলে গিয়েছে।” অন্যদিকে, টিকা কবে মিলবে সেবিষয়ে স্পষ্ট না জানালেও টিকা যে স্বচ্ছ ও মসৃণ ভাবে দেওয়া হবে ও টিকার সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপোস করা হবে না, এদিন সেটি স্পষ্ট করে দেন মোদি। তিনি বলেন, “টিকা নির্মাণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে কিন্তু কবে টিকা পাওয়া যাবে সেটা নির্ভর করে হু সহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র দেওয়ার ওপর।” পাশাপাশি তিনি জানান রাজ্যদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে যে তারা কাদের আগে টিকাকরণ করাতে চায়। একই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা রাজ্যগুলির প্রান্তে প্রান্তে যাতে পর্যাপ্ত থাকে, তার জন্য মুুখ্যমন্ত্রীদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ করোনার টিকা সাধারণ ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হয়।