
আগ্রাসী চিনকে নজরে রেখে সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত ও জাপান । বুধবার, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নয়াদিল্লি ও টোকিও । এদিন রাজধানী দিল্লিতে ভারতের হয়ে প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার ও জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি মিউচ্যুয়াল লজিস্টিক সাপোর্ট অ্যারেঞ্জমেন্টে স্বাক্ষর করেন । এই চুক্তির ফলে ভারতীয় সেনা ও জাপানি ফৌজ রসদ আদানপ্রদান ও একে ওপরের সামরিক পরিকাঠামো ব্যবহারের সুবিধা পাবে । তবে লাদাখ ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে, এই চুক্তির আসল উদ্দেশ্য লালফৌজের বিরুদ্ধে একটি সামরিক বলয় গড়ে তোলা। এমটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মোদি সরকার। এই চুক্তির ফলে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে দুদেশের মধ্যে সামরিক শক্তি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়ে গেল৷ তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে দুই মহাসাগরেই অবাধে পাড়ি দিতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। এর ফলে চিনা নৌবাহিনীকে এক চক্রব্যূহর মধ্যে ঘিরে ফেলা যাবে। এদিকে চুক্তির পর ফোনে কথা বলেন দু দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে একে অপরকে ধন্যবাদ জানান। এর আগেই আমেরিকা, ফ্রান্স, সাউথ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। এর ফলে ওই দেশগুলির নৌসেনা ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। পাশাপাশি, ভিয়েতনামের সঙ্গে ক্রমশ সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে নয়া দিল্লি৷ ভিয়েতনামকে ভয়ঙ্কর আকাশ মিসাইলও সরবরাহ করতে পারে ভারত।