সময়ে ভ্যাকসিন না নিলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে মোবাইল নম্বর , হারাতে পারেন ফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরকমই কড়া নির্দেশ জারি করেছে পাকিস্তান। আর আপনি যদি হন সরকারি কর্মচারী তাহলে, মাসের পুরো মাইনেটাই বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা। পাকিস্তানে টিকাকরন বিপুল মাপে বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশের মানুষকে সচেতন করতেই এইরূপ নির্দেশিকা চালু করা। এই নিদর্শন দিয়েছে প্রধানত পাকিস্তানের দুই প্রদেশ সিন্ধ এবং পাঞ্জাব, এমনকি কাজ হাসিল করতে ভয় দেখানো হচ্ছে তেঁতো ওষুধেরও।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য এছাড়া কোনো উপায় তাঁদের কাছে ছিল না। এছাড়াও তারা জানায় টিকাকরণ নিয়ে পাকিস্তানে এমনিতেও অনেক কুসংস্কার রয়েছে। এই অসচেতনতা দূর করতেই পাকিস্থানের এই পদক্ষেপ। তবে এর জন্য দায়ী অনেক সামাজিক কুসস্কার। এর এক উদাহরণ পাওয়া যায় পালস পোলিও কর্মসূচি থেকে, অনেক পরিবার এই পোলিও কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিলো। পোলিওর টিকা নিলে নাকি সদ্যজাত শিশুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে ও নাকি সে মরেও যেতে পারে, এই সমস্ত অবৈজ্ঞানিক তথ্য ও ভয় তাদেরকে কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দিয়েছে ধীরে ধীরে। আবার বেশ কিছু মানুষের বিশ্বাস যে এই পোলিও নাকি সমস্ত জীবনের জন্য তাঁদের শিশুদের পঙ্গু করে দিতে পারি এটা ‘ আমেরিকার চক্রান্ত ‘ তাই আফগানিস্তানের মতোই পাকিস্তানও পারে পোলিওকে রুখতে। তবে পাকিস্তান সরকার এবার কোনোমতেই চাইছে না করোনা মোকাবিলায় হার স্বীকার করতে। তাই প্রশাসন এই ব্যাপারে খুবই তৎপর।
তবে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার গুজব আবার মাথা তুলেছে কোভিডি টিকাকরণের সময়। করাচির এক পরিবার ও তাঁদের প্রিয়জন মিলে ২৫ জন টিকা নিতে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁদের মনে হচ্ছে যে টিকা নিলে তার দুই বছরের মধ্যেই নাকি সবাই মৃত্যু হবে। তাই অনেক গুজব ও অর্ধেক সচেতনতায় পাকিস্তান জুড়ে ভ্যাকসিনের প্রকল্প কোনো ভাবেই কাজে আসছে না। এই বছরে দেশের ৪.৫ কোটি- ৬.৫ কোটি জনগণকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁদের, আপাতত সেটা ৩০ লক্ষ্যে এসে পৌঁছেছে। এই ভ্যাক্সিনেশনের প্রকল্পে তাঁরা ব্যয় করেছে ১.১ বিলিয়ান, যা এই ক্ষেত্রে একেবারেই অচল হয়ে রয়েছে। তাই তারা উল্টো পথেই হাঁটছে এইবার, সিন্ধের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনোভাবেই তাঁরা টিকা প্রত্যাখ্যান করা মেনে নেবে না। পাকিস্তানের অর্থদপ্তর সরকারি কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছে যে টিকা না নিলে মাসিক গোটা বেতন বাতিল করবে সরকার।