বিরোধীদের তীব্র বাগ-বিতণ্ডার পরও আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতাবৃদ্ধির উদ্দেশে আনা কেন্দ্রের বিতর্কিত বিল৷ ‘দ্য গভর্মেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরিটরি অব দিল্লি (সংশোধিত) বিল ‘ শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হল।নির্বাচিত সরকারের তুলনায় দিল্লির উপরাজ্যপালের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিতর্কিত বিলে রবিবার সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।২২ মার্চ লোকসভার পর ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল এই জিএনসিটিডি বিল। দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল এই বিলের প্রতিবাদ করে সে দিন রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে। কিন্তু তাতেও আটকানো গেল না এই বিলের আইনে পরিণত হওয়া।
অসুস্থ হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ আগামিকাল তাঁর বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা রয়েছে ৷ সেই হাসপাতাল থেকেই রবিবার দিল্লির বিতর্কিত কেন্দ্রীয় বিল দ্য গভর্মেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, (২০২১ ) সই করলেন রাষ্ট্রপতি । বিল পাশ হওয়া রুখতে রাজ্যের ভোটের ব্যস্ততার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ায়ের নির্দেশে দিল্লি ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা৷ বিভিন্ন রাজ্যের ভোট মেটা পর্যন্ত এই বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তবে তাতেও কাজ হলো না শেষ পর্যন্ত। কেজরিওয়াল বলেন এই বিলের আইনে পরিণত হওয়ার অর্থ দিল্লি সাধারণ মানুষের অপমান কারণ সাধারণ মানুষ যাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় এনেছে তাঁর থেকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হলো হেরে যাওয়া দলটির হাতে। তবে কবে থেকে লাগু হবে এই আইন সে ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য সামনে আসেনি।