গতকাল রাত্রে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল লাদাখ, পাশাপাশি তার তীব্রতা অনুভব করেছে লে অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.১।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা এনসিএস জানাচ্ছে রাত ১:৫ নাগাদ কম্পন হয়। তবে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। যদিও বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।
ভূমিকম্প হয় মূলত মাটির নিচের শিলা আচমকা ভেঙে যাওয়ার ফলে। হঠাৎ করে এই ভাঙন মাটির তলার প্রচণ্ড শক্তির সৃষ্টি করে এবং এটা ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মাটি কেঁপে ওঠে এবং মাটির ওপরে থাকা সবকিছু দুলতে থাকে । এর তীব্রতা এত বেশি হয় যে এর ফলে আমরা ভূমিকম্প অনুভব করতে পারি।
বিশেষত কোন একটি স্থানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গেলে তার ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং তার প্রভাব ভূমিকম্পের মাধ্যমে এসে পরে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতে। কিছুদিন আগে উত্তরাখান্ড হিমাবাহ ও ধসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল উত্তরখণ্ডের মানুষজনকে। তবে আগামী দিনে ওই একই কারণে ভূমিকম্পের মুখে পড়তে হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ – সিকিম ভুটান মায়ানমার বাংলাদেশ প্রভৃতি অংশকে। বিশেষত উত্তরখান্ডে হিমাবাহ ধস হয়েছিল তার ফলে হিমালয়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই দিল্লির মতো ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোকে আগামী দিনে তীব্র ভূমিকম্পের সম্ভাবনা আছে বলেই জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানী সুজিব কর ।