আইন সংশোধনে রাজি হলেও বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি ছাড়তে নারাজ কৃষকরা । সারা ভারত জুড়ে চলছে বিক্ষোভ । এমনকি দেশের বাইরেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে । লন্ডনের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতীয় কৃষকদের পাশে থেকে আন্দোলনে নেমেছেন । কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের বৈঠকও হলেও তা কার্যকর হয়নি । এদিকে কাল একই প্রসঙ্গে ভারত বনধ ডেকেছে কৃষক সংগঠনগুলি । সমস্ত বিজেপি বিরোধি দল বিক্ষোভের সমর্থনে থাকলেও তৃণমূল এই বনধের কতটা পক্ষে সেটা নিয়ে যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে । এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বনধকে সমর্থন করার কথা না বললেও কৃষকদের পাশে থেকে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করার কথা বলেছেন ।
এমনকি ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘কৃষক বিরোধী’ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এবং পঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবে । খোদ মুখ্যমন্ত্রী ১০ তারিখ সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন ।
উল্লেখ্য আজ মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সফরে যান এবং সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের প্রতি ব্লকে ব্লকে কৃষকদের সমর্থনে ধরনা পালন করার নির্দেশ দেন । এছাড়াও হাতে ধান নিয়ে তিনি বিজেপি সরকারের প্রতি কটাক্ষ মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে বলেন- “নবান্নের শপথ করে বলছি, নতুন ধানের শপথ করে বলছি, আমরা কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। লক্ষ্মীর ধানই তোমাদের বিদায়ঘণ্টা বাজাবে” । বলা যেতে পারে বিজেপির গলায় এই নয়া কৃষি আইন কাঁটার মতই বিঁধছে । এখন দেখার অপেক্ষা পরবর্তী আন্দোলনকারী কৃষক-কেন্দ্রের বৈঠকে কি ফলাফল বেরোয় ।