আবারও পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে জীব পাঠাচ্ছে নাসা। ৫হাজার টারডিগ্রেড এবং ১২৮টি স্কুইডের বাচ্চা আজই পাড়ি দিচ্ছে মহাকাশে। মহাকাশের আবহাওয়ায় কতখানি টিকে থাকতে সক্ষম মানুষ ছাড়া অন্যান্য জীব, তা বোঝার জন্যই এহেন উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-03-at-11.41.19-1.jpeg)
টারডিগ্রেড অত্যন্ত ছোটো একটি প্রানী। ১মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রানীরা বিভিন্ন চরম কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম পৃথিবীতে।এমনকি অত্যন্ত উচ্চ চাপ এবং তেজস্ক্রিয়তাও দিব্যি সহ্য করে নিতে পারে এরা। আর এহেন অসামান্য ক্ষমতার জন্যই এই খুদে জীবদের বেছে নিয়েছে নাসা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সেই জিন গুলিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাবেন যা প্রানীদের এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেও বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও ১২৮টি বাচ্চা স্কুইডও পাড়ি দিচ্ছে মহাকাশে। এর জন্য বোবটাইল প্রজাতির স্কুইডদেরই বেছেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রজাতির স্কুইড একটি অঙ্গের মাধ্যমে অন্ধকারে আলো বিচ্ছুরণ করতে সক্ষম। আলোর অভাবে বায়োলুমিনসেন্ট ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে আলো বিচ্ছুরণ করে এরা। যদিও এই ব্যাকটেরিয়া এই স্কুইডের দেহে তৈরি হয়না। মহাসমুদ্র থেকে বহুবছর ধরে জমা হয় এদের শরীরে। স্কুইডের বাচ্চাগুলির শরীরে কৃত্রিম ভাবে এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করিয়েছেন গবেষকরা। জীবানুরা মহাশূন্যে কীভাবে প্রাণীর টিস্যুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাইই দেখতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে স্পেস এক্সের ২২তম কার্গো মিশনের সময় মহাকাশে পাঠানো হবে এই প্রানীদের। এই টারডিগ্রেড এবং স্কুইডের বাচ্চাগুলি ফ্যালকন ৯ রকেটে উঠবে আজই।ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে এরা যাত্রা শুরু করবে তারা।