তীব্র গরমের দাবদাহে স্বস্তির সাদ ফিরিয়ে আনতে, দেখা পাওয়া গেছিল কালবৈশাখীর তবে কার তাণ্ডবলীলায় তছনছ বাংলাদেশের একাংশ। ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা বলে জানা যাচ্ছে। ঝড়ের সময় গাছ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। নিহত হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তাফুর গ্রামের গোফফার (৪২), ডাকিরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম ৫০, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিছমত হলদিয়া গ্রামের ছোলায়মান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গাফলামাড়ি গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৫) ও ফুলছড়ি উপজেলার ডাকাতিয়ার চর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন (৩৮)। তিনি মদনপাড়া এলাকায় ঝড়ে অটো উলটে তিনি মারা যান।
ফুলচারি, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ এলাকায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। রবিবার সন্ধ্যায় কমপক্ষে ১৩টি জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলে। গাইবাঁধার ডেপুটি কমিশনার আব্দুল মতিন বলেন, ‘ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়েছে, বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’ পাশাপাশি আহতদের সংখ্যাও তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুরা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, যশোর এলাকায় রবিবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঝড় হয়। কয়েকটি এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ঢাকাতেও সামান্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। ঢাকায় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৪ কিমি। কালবৈশাখীর তাণ্ডব চললেও গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশবাসী। রবিবারের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা নেমেছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পরদিন সকাল থেকেই আবার তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকবে। তার ফলে আবারও অস্বস্তিকর গরম ভোগাবে।