দফায় দফায় বৈঠক হয়ে যাচ্ছে বিফল, মুখের প্রতিশ্রুতি ভাঙছে হাতের কাজ। বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো, সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর আর অপরদিকে পিএলএতে সেনার পরিমাণ বাড়তে থাকছে, শক্তিশালী হতে চলেছে চীনের সেনাবাহিনী। রিপোর্ট বলছে পিএলএ-র টিবেট মিলিটারি কমান্ড ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে।

ইতিমধ্যেই করোনা আবহে চীনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বিশ্বের সমস্ত দেশ । এই পরিস্থিতিতে এবং ভারত সীমান্তে ক্রমেই বাড়তে থাকে সেনার পরিমাণ , তারপর উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। ফলে মৃত্যু হয় দুই দেশের বীর সেনাদের। লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একের পর এক বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনাবাহিনীর কর্তারা । সেক্ষেত্রে প্রতি দফার বৈঠক বিফল হয়ে যায় পরবর্তীতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামীদিনে দুই দেশের সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে চলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও তার বাস্তবায়ন হলো না শেষ পর্যন্ত।
ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে চাইনা সেন্ট্রাল টেলিভিশনের মাধ্যমে একটি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে যার ফলে দেখা যাচ্ছে জিয়াও পোস্ট বরাবর সেনাসংখ্যা বাড়াচ্ছে চৈনিক সেনাবাহিনী। বাড়ানো হয়েছে ব্যারাক, ক্যাম্প, অস্ত্র রাখার ছাউনি, গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে।
বৈঠকের ফলে ফিঙ্গার ফাইভ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হলেও এত তাড়াতাড়ি সীমান্ত দখলের খেলা থেকে হাত গুটিয়ে নেবে চীন এটা আশা করাই কাম্য নয়। বছরের পর বছর ধরে চীনের সীমান্ত হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে অবশ্যই বোঝা যাবে, চীনের দূরভিসন্ধির কোন অভাব নেই। তাই সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাবধান করেছেন চীনের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে।