নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছি এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁদের রেয়াত করা হবে না।’ যদিও এখনও পর্যন্ত বিধায়ক তথা দলের সদস্য মানিক ভট্টাচার্য ও গরু পাচার বাংলায় দ্রুত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
শশী পাঁজার সুরে সুর মেলালেন ব্রাত্য বসুও। তাঁরও এজেন্সির প্রতি একটাই প্রশ্ন। বলেন, ‘আমাদের অপরাধ, আমরা তিনবারের নির্বাচিত সরকার। আপনারা হয়তো আরও তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করবেন। করুন, কিন্তু বিজেপি নেতাদের একবারও ডাকবেন না? নারদা ও সারদা কোনও ট্রায়াল এখনও হয়নি।’
অন্যদিকে, এদিন ফের চাকরি চোরেদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আদালতের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে চাকরি চোরেদের ‘আমাদের পরিবারের সদস্য’ বলে দাবি করলেন তিনি। সঙ্গে দুর্নীতির কান্ডারিদের দায় ঝেড়ে ফেলে বললেন, টেক স্ট্রিক্ট অ্যাকশন।
এদিন মমতা বলেন, ‘কখনও জেনে শুনে অন্যায় কারও করিনি। ইভেন আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তাহলে তোমরা কেন খাচ্ছো? দেবার ক্ষমতা নেই কাড়বার ক্ষমতা আছে?
এদিন দুর্নীতির মাথাদের দায় ঝেড়ে ফেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বলছি, যারা অন্যায় করেছে অ্যাকশন নিন। টেক স্ট্রং অ্যাকশন। আমার কোনও দয়া নেই তাদের জন্য। কিন্তু ছেলে মেয়েগুলো যেন ভিক্টিমাইজ না হয় তাদের চাকরিটা আইন অনুযায়ীই ফিরিয়ে দিন।’