“আচ্ছা! ছবিটাতে আছে কি বল? এক তুই ছাড়া!…
“আমি তো আছি… Isn’t that enough?”
উপরের উক্তিগুলি বলার ঔদ্ধত্য যিনি রাখতেন,আজ সেই ভদ্রলোকের জন্মদিন! আজ বাঙালির ‘মহানায়ক’-এর জন্মদিন! বাঙালি কন্যাদের হার্টথ্রব, সুপুরুষ, ক্যারিশম্যাটিক উত্তমকুমার যার আভিজাত্য ও স্টাইলে মেতে ছিল আপামোর বাঙালি জনতা। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ ছবি ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ প্রতিটিতেই রেখে গিয়েছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার সুস্পষ্ট ছাপ। উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও বাঙালি হৃদয়ে বসবাস করে আইকনিক জুটি হিসেবে।কিন্তু আমজনতার মহানায়ককে সর্বদাই ব্রাত্য করেই রেখেছিল সেই যুগের আর্ট ফিল্ম দেখা আঁতেল বাঙালি। কিন্তু হিরে চিনতে ভুল করেননি সত্যজিৎ রায়। মানিকবাবুর ছবি ‘নায়ক’-এ উত্তম কুমারের অভিনয় তাঁর পাকাপাকি জায়গা করে দেয় প্রতিটি বাঙালির ড্রইংরুমে।
উত্তমকুমার একসময় পা বাড়িয়েছিলেন হিন্দি ছবির ঝলমলে পর্দার দিকেও। প্রথম হিন্দি ছবি ‘ছোটি সি মুলাকাত’ ; বিপরীতে বিখ্যাত নায়িকা বৈজয়ন্তিমালা। এই সিনেমার প্রডিউসরও ছিলেন উত্তমকুমার নিজেই। এই সিনেমার পেছনে নিজের অর্জিত প্রায় সমস্ত অর্থ খরচ করে ফেলেন তিনি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। হিন্দি দর্শকরা আপন করে নেয়নি বাঙালি ইন্ডাস্ট্রির মহানায়ককে। এরপরেও কয়েকটি হিন্দি সিনেমা করেন উত্তমকুমার। কিন্তু প্রায় সবগুলিই নাম লেখায় ফ্লপ লিস্টে। প্রথম হিন্দি ছবির ব্যর্থতা তাকে তাড়া করেছে আজীবন। ভারতীয় সিনেমা জগতের অন্যতম মুখ উত্তমকুমারকে কোনোদিনই প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি মায়ানগরী।