নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ। ব্যান্ডেলে শরৎ সরণিতে মিলল বাড়ির খোঁজ। বাড়িটি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দাবি স্থানীয়দের। নিজের স্ত্রীর নামে বাড়িটি কেনেন শান্তনু। এখন তালাবন্ধ রয়েছে বাড়িটি। কোথাও বিশাল তিনতলা বাড়ি, কোথাও আবার বিপুল আয়তনের ফ্ল্যাট। কোথাও ধাবা-হোটেল, আরেক জায়গায় রিসর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির তৃণমূল নেতার সম্পত্তির খতিয়ান দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, হুগলি জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শান্তনুর সম্পত্তি। ইডি সূত্রে দাবি, এখনও অবধি এই যুব তৃণমূল নেতার ১০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
যে সব সম্পত্তি ২০১৫ সালের পর কেনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই নগদে কেনা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটে যখন দুর্নীতি হয়, তারপরই উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় শান্তনুর সম্পত্তি।
একজন, দু’জন নয়! ২০০ জনেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের বদলির বিনিময়ে মোটা টাকা নিয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনই তথ্য এবার উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ, ইডি-র তদন্তে। এই গোটা বদলি প্রক্রিয়ায় তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যে সমস্ত কর্মচারী শান্তনুকে সাহায্য করেছিলেন, এবার তাঁদের উপরেও নজর দিচ্ছে ইডি।
প্রাইমারি শিক্ষকদের বদলির জন্য মাথা পিছু ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা করে টাকা নেওয়া হতো। ইডি সূত্রের দাবি, এভাবে প্রায় ২০০-র ও বেশি প্রাথমিক শিক্ষককে বদলি করেছিল শান্তনু। এই বদলি প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে যাঁরা শান্তনুকে সাহায্য করত এবার তাঁদের একে একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার তোড়োজোড় শুরু করেছে তারা। আগামী সোমবার, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি-র বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।