
গতকাল নারদা কান্ডে চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারের ঘটনায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। লকডাউন এবং করোনা বিধি ভেঙে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখান তৃনমুল কর্মী সমর্থকেরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেস এবং রাজভবনের সামনেও। জ্বালান হয় টায়ার,কুশপুত্তলিকা। চলে ইট বৃষ্টিও। ফলে কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহর কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। গতকাল ভার্চুয়াল শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হলেও তারপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় সিবিআই। সেখানে জামিন খারিজের পাশাপাশি আবেদন করা হয় নারদা মামলাকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতির। সিবিআইয়ের দাবী, চার অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরই কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় রাজ্যজুড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিও চলে বিক্ষুব্ধ জনতার। এমনকি সিবিআই দপ্তরে ধর্ণা দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই পরিস্থিতিতে ঝামেলার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে নারদা মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গতকালই হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে চার অভিযুক্তের জামিনের আবেদন। কাল মাঝরাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শোভন, মদন, সুব্রত এবং ফিরহাদকে। যদিও এই মামলা রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আগামীকালের শুনানিতেই রায় শোনাবে হাইকোর্ট।