কিছুদিন আগেই ভয়াবহ নৌকাডুবি ঘটেছিল ইংলিশ চ্যানেলে। আর সেখানেই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন উত্তর ইরাকের ২৪ বছর বয়সী কুরদিশ মহিলা মারিয়াম নুরি মোহাম্মদ আমীন। ইংলিশ চ্যানেলের নৌকাডুবির ঘটনায় সর্বপ্রথম এই মহিলার দেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ভদ্রমহিলার বাগদত্তা ইউকের বসবাসকারী এক নাগরিক। বিখ্যাত এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন , ইংলিশ চ্যানেল পারাপার করার সময় মারিয়াম তাঁকে মেসেজ করেছিলেন এবং সেখানেই নৌকার বর্তমান পরিস্থিতির বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন। তবে মনের জোর হারাননি মারিয়াম। তিনি বলেন খুব শীঘ্রই উদ্ধারকারী দল এসে তাঁদের উদ্ধার করবে। যদিও সহযোগিতা আসতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। সেই কারণেই মোট ১৭ জন পুরুষ ও ৬ মহিলা একজন গর্ভবতী সহ তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। নৌকাডুবির ঘটনায় দুজন প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একজন ইরাকি এবং একজন সোমালি যাত্রী নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,মারিয়ামের হবু স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আরও একজন মহিলা আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন ওই নৌকাতে। মূলত নিজের হবু স্বামীকে একটি চমক দিতেই ইউকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মারিয়াম। জানা যায় নিজের যাত্রাপথেই স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে চ্যাট করছিলেন দুজনই । আর এরই মাঝে হঠাৎ ঘটে বিপত্তি। ইতিমধ্যেই ডুবন্ত ওই দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও গত বুধবারই এই দুই যাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও মারইয়ামের পরিবার থেকে তাঁর কাকা বিখ্যাত এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই নৌকায় অভিযাত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মারিয়াম। এই প্রসঙ্গে মিস্টার হোসেন জানান,” যখন তিনি কুর্দিস্তান থেকে রওনা হয়েছিলেন তখন তিনি খুবই খুশি ছিলেন এমনকি তিনি এটাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রওনা হচ্ছেন। “