লকডাউনে দীর্ঘ আট মাস স্কুল বন্ধে বিপাকে স্কুল বাস সংগঠনের কর্মীরা। বেতন না পাওয়ায় এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তাঁরা। কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি মিলিয়ে চার হাজার বাসমালিক এবং প্রায় ১৫ হাজার কর্মী রয়েছেন বলে জানায় ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে স্কুল বাস মালিক ও কর্মীরা। সমস্যায় ৩৫০০ স্কুল বাস রয়েছে। আর তাই আমরা সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’
শহর কলকাতায় প্রায় ৩০০০ স্কুল বাস যাতায়াত করে। আর এই সমস্ত স্কুল বাস চুক্তির ভিত্তিতে পরিষেবা দেয়। অর্থাৎ কোথাও স্কুল বা কোথাও সরাসরি অভিভাবকদের সঙ্গে চুক্তি হয় বাসগুলির। তবে টানা লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের স্কুলগুলি। এদিকে, স্কুল বন্ধ থাকায় গত দুই মাস অভিভাবক বা স্কুলের তরফে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি স্কুল বাস সংগঠনের সদস্যদের। যার জেরে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের৷ সংগঠনের দাবি, লকডাউন পর্বে আয় না থাকা সত্ত্বেও বাসমালিকেরা কর দেওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের সাধ্যমতো বেতন দিয়েছেন। এবার তাই আর্থিক সংকট কাটাতে কর মুকুবের পাশাপাশি স্কুল খোলার দাবি তুলেছেন তাঁরা। শুক্রবার এই দাবিতে, সংগঠনের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে মিছিল করে। যদিও হাজরা পার্কের কাছে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরে এক প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।