ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল বকখালিতে। জানা যায় গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফেরার সময় মৎস্যজীবী বোঝায় এই ট্রলারটি হঠাৎ ডুবে যায়। ইতিমধ্যেই দুজনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১০। এই ট্রলারটি নাম এফবি হৈমাবতী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক আগে ১২ জন মৎসজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ছিল এই ট্রলারটি। পেশায় মৎস্যজীবী হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় সমুদ্রের বুকে থাকতে হয় তাঁদের। একথা ঠিক যে সমুদ্রের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক একাত্ম। তবে প্রকৃতির এই ধ্বংসাত্মক কখনও কখনও একাত্ম সম্পর্ককেও ভেঙে দেয়।ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, মূলত সমুদ্রপথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফিরে আসছিল ট্রলারটি।
ফেরার পথে রক্তেশ্বর চরের কাছে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। তবে সৌভাগ্যের বিষয় পার্শ্ববর্তী স্থানগুলিতে অন্যান্য ট্রলার এবং মৎস্যজীবীরা উপস্থিত থাকার কারণে তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্য শুরু করেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে এরই মধ্যে দুজন মৎস্যজীবী সহ ওই ডুবন্ত ট্রলার টিকে উদ্ধার করতে পেরেছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত ১০ জন মৎসজীবির কোন হদিস পাওয়া যায়নি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বকখালিতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছিলেন ১২ জন। সেই সময়ে মাতাঁরা নামের একটি ট্রলার বারোজন মৎসজীবিসহ সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন । তবে সামুদ্রিক আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সেদিন বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। যদিও আজকের এই ট্রলারের উদ্ধারকার্য নেমেছেন সকলেই এবং দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সকলের হদিস পাওয়া যাবে।