অবশেষে আগামীকাল থেকে বিশ্বভারতীতে শুরু হতে চলেছে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন। করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল ক্যাম্পাস। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিজ্ঞপ্তি পেয়ে শান্তিনিকেতনে পড়ুয়ারা ফিরতেই প্রাণ ফিরলো ক্যাম্পাসে। তবে এই নির্দেশিকা সব পড়ুয়াদের জন্য নয়। শুধুমাত্র স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের শেষ সেমিস্টার, এম ফিল এবং পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যই প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। তবে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক হলেও সংস্কারের কারণে এখনই ছাত্রাবাসের থাকার সুবিধা পাবেন না পড়ুয়ারা। এমতাবস্থায় ক্লাস করতে চাইলে শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হবে পড়ুয়াদের। তবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছন্দ ফিরতেই খুশি বিশ্বভারতীর সকল স্তরের মানুষজন।
বুধবার থেকে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হলেও বিষয়টি অত সহজ ছিল না কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়েই পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করতে তৎপর হয় বিশ্বভারতী। যদিও নতুন করে সংক্রমণ এড়াতে কর্তৃপক্ষ, বিশ্বভারতীর প্রতিটা ভবনের পড়ুয়াদের কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পড়ুয়াদের।
কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞপ্তি মারফত জানানো হয়েছে যে সকল পড়ুয়াদের করোনার দুটি টিকাকরণের শংসাপত্র রয়েছে কেবল তারাই শুধুমাত্র অফলাইন ক্লাসের সুযোগ পাবেন পাশাপাশি চলবে অনলাইন ক্লাসও। যেহেতু আগামীকাল থেকে ক্লাস শুরু তাই ইতিমধ্যেই অধিকাংশ পড়ুয়াই ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসে পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে বলে খুশি পড়ুয়ারা।