ন্যাটোকে হুঁশিয়ারি দিল চীন। ন্যাটোর বৈঠকে এই প্রথম সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে চীনকে। চীনের দাবী ন্যাটোর সংগঠনের নেতারা চীনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে। তাই আগামী দিনে সংগঠন ন্যাটোকে চীনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি থেকে শুরু করে ক্রমাগত সামরিক এবং পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির কারণে চীনকে নিয়ে চিন্তিত পৃথিবীর প্রথম সারির শক্তিশালী দেশগুলি।তাছাড়াও চীনের বিরুদ্ধে দাবি করা হয়েছে ,চীনের একনায়কতান্ত্রিক’ শাসন ব্যবস্থার কারণে অন্য কোন দেশের সঙ্গে আপোষ বা সমঝোতায় আসতে চায় না এই দেশ।

ইতিমধ্যেই চীনের তরফ থেকে সম্মুখ সফরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণাতে চিন্তার মুখে পড়েছে ন্যাটো। ন্যাটোর দাবি আগামীদিনের রাশিয়াকে পাশে নিয়েই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাম্রাজ্য স্থাপন করতে চাইছে চীন। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাকে চিনের বিরুদ্ধে সরব হতেই হবে। চীনের একনায়কতান্ত্রিক সরকার যে ভাবে চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।” তবে এই প্রসঙ্গে চীনের তরফ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয় “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীন বিরোধী যুদ্ধের রথে নিজেকে বাঁধবে না”। এছাড়াও সেদিন ন্যাটোর এই বৈঠকে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের, উইঘুর নির্যাতন থেকে শুরু করে হংকংয়ে স্বায়ত্তশাসন যথাযথ রাখা এবং তাইওয়ানে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।