চতুর্থ দফার ভোটের দিন বেশ কিছু কারণে শিরোনামে উঠে এসেছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। ভোটের দিন শীতলকুচির 126 নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় প্রথমবার ভোট দিতে আসা বছর ১৮ এর যুবক আনন্দ বর্মন সহ আরও ৪ জনের।
এরপরওম এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় বঙ্গ ভোটের ময়দানে। কখনও বিজেপির তরফে অভিযোগ আসে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সিমপ্যাথি গেম’ খেলতে চাইছেন ওই ঘটনায় মৃত ৪ সংখ্যালঘুকে নিয়ে। আনন্দ বর্মন হিন্দু হওয়ায় কোনো সহানুভূতিই নেই তাঁর। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তোপ দাগে তৃণমূলও। শীতলকুচি কান্ডে অবশ্য কখনওই চুপ থাকেননি মমতা। কালই তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। এর পরই সাসপেন্ড করা হয় কোচবিহারের এসপি দেবাশিস ধরকে।তারপরই আজ সমস্ত জল্পনা ও বিতর্কে জল ঢেলে শীতলকুচি নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা। আজ তিনি ঘোষণা করেন যে চাকরি দেওয়া হয়ে শীতলকুচি কান্ডে মৃত ৫ জনের পরিবারের এক একজনকে। এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান,” শীতলকুচি নিয়ে সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওখানে পাঁচজন মারা গিয়েছিল, চারজন রাজবংশী মুসলিম, একজন হিন্দু। পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।” মমতার আজকের এই ঘোষণার পর কার্যতই কুলুপ বিরোধীদের মুখে। এখানেই শেষ নয়, এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় মৃতদের পরিবারপিছু ২লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীতলকুচি নিয়ে বড় ঘোষণা, মৃতদের পরিবার পিছু চাকরির আশ্বাস মমতার । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 24 Second