
গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে। মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে দফায় দফায় জেরার পর বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন তিনি একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।

গত সেপ্টেম্বরে কেরলের বাসিন্দা এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট জিবু ডি ম্যাথিউয়ের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়েই এরাজ্যে গরু পাচার-চক্রের হদিশ পায় সিবিআই। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতেই বিএসএফ, কাস্টমস-সহ বিভিন্ন দফতরের একাধিক সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে আসে। সেখানেই ধৃত সতীশের নাম পান তদন্তকারীরা। সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হকের নাম উঠে আসে। কয়েকদিন আগে এনামুলকেও নিজেদের হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা।

এর আগে তিনবার সমন পাঠানো হয়েছে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে। তবে প্রতিবারই বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। মঙ্গলবার এলেও অধিকাংশ প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন না ওই আধিকারিক। জবাব জানা নেই বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৬ মাসে সতীশের বাহিনী মালদা ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে প্রায় ২০ হাজার গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল। গরুর যা দাম, তার চেয়ে কম দামে সেগুলি স্থানীয় বাজারে নিলাম করা হত। সেখান থেকে বাছুরের দামে গরু কিনে নিত পাচারকারীরা। এই পাচারচক্রের মাথায় ছিলেন এনামুল হক। গরুকে বাছুর বানিয়ে দেওয়ার কাজ করত সে। এভাবেই বিএসএফ এবং কাস্টমস আধিকারিকদের সঙ্গে এনামুলের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে।
আর এই গরুপাচারের টাকা কাদের কাছে পৌঁছত তা জানতে সতীশ কুমারকে জেরা করবে তদন্তকারীরা।