আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রেসিডেন্টকে দুবার ইমপিচমেন্ট করার কথা জানা গেল । ২০১৯ সালে প্রথমবার তিন মাসের জন্য ইমপিচ করা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নিজের প্রেসিডেনশিয়াল পাওয়ার এর মেয়াদ ফুরানোর আগেই বিতাড়িত করা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে। দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া বেষ্টনীতে ২৩২-১৯৭ ভোটে পাশ হয়ে গেল তাঁর ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব। তবে এবারে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।সেবার তাঁর ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে ছিলেন রিপাবলিকানরা৷ কিন্তু এবার বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিলেন ১০ রিপাবলিকান।

যদিও এই অবিশ্বাস্য ঘটনার নজির রাখার কারন একটিই। গত ৬ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল তাঁর সমর্থকরা৷ একাধিকবার প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ইতিহাসে প্রথমবার কোন রাষ্ট্রনেতার ইমপিচমেন্টের জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো হোয়াইট হাউস কে বেঁধে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেডের মধ্যে, মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আমেরিকার অনেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাই বলেছেন এরকম নৈরাজ্যকর ঘটনা আগে কখনো দেখেননি তারা। ক্ষমতা হস্তান্তর কে ঘিরে এত বড় হামলা যা বিশ্বের দরবারে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মান সম্মান কে অবনত করেছে। শুধু তাই নয় এবার অসন্তোষ এর পরিমাণ এতটাই বেশি যে ট্রাম্প ইম্পিচমেন্ট এর ভোটাভুটিতে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা বেশি হলেও রিপাবলিকান অর্থাৎ ট্রাম্প সমর্থকেরাও অনেকেই ভোট দিয়েছেন।
ট্রাম্পের ক্ষমতা শেষ এর মেয়াদ আর মাত্র কিছুদিনই ছিল ,কিন্তু এইরকম অরাজনৈতিক কার্যের মদদ দেয়ার জন্য তাকে ইমপিচমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সিনেট দের তরফ থেকে। তাই তাকে হোয়াইট হাউস থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক স্পেন্সের কাছে সমর্থন চেয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। সে ক্ষেত্রে সফলতা পাননি ডেমোক্র্যাটরা ,স্পেন্স বেঁকে বসেছেন ,তিনি বলেছেন ট্রাম্পের বিরোধিতা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়ে অন্যায় ভাবে প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন ট্রাম্প, তাই এই ইমপিচমেন্ট দেশ জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত।