রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত, বিচার করতে না পারায়, তাদের পরামর্শগুলি রূপায়ণে ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ তেই ফেলে রাখে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। সন্ত্রাসবাদ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিরুদ্ধে লড়াই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছে ইইউ।
এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট ডঃ মার্কাস প্লেয়ার গত সপ্তাহেই জানিয়ে দেন, ২০১৮র জুনে যে মৌলিক অ্যাকশন প্ল্যান ঠিক হয়েছিল, তার সবকটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া এই নজরদারি গোষ্ঠীর আঞ্চলিক শরিক এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ ২০১৯ এ যে সমান্তরাল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল, তারও সব কটি ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ধূসর তালিকাতেই থাকবে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-30-at-5.51.06-PM.jpeg)
এফএটিএফের পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি গত রবিবার বলেন, এটা টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত হলে তাঁর দেশ সাদা তালিকায় ঢুকে পড়ত। তাঁকে উদ্ধৃত করে পাক মিডিয়া বলেছে, এখন এফএটিএফ সদস্যদের, বিশ্বকে স্থির করতে হবে এটা কি টেকনিক্যাল না রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মঞ্চ।
বলাবাহুল্য পাক মিডিয়া সূত্রে খবর এফএটিএফ জানিয়েছে যে ইসলামাবাদ ধূসর তালিকাতেই থাকবে। এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২৩ শে জুনই একটি অধিবেশন করেছিল তাঁরা।
এই মাসের গোড়ার দিকে, এফএটিএফ-র একটি আঞ্চলিক অনুমোদিত বৈঠকে পাকিস্তানকে ‘বর্ধিত ফলোআপ’ তালিকায় ধরে রেখেছে এবং দেশকে বেআইনি অর্থের লেনদেন এবং সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োগকে আরও জোরদার করতে বলেছে।