মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কার্যতই স্পিকটি নট দিলীপ ঘোষ। সরাসরি নাম না করেই অবশ্য মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “জল্পনা-কল্পনা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন। তাঁদের পাশে থাকতে হবে।কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। কেউ ভোটে জিততে পারেননি। আবার কেউ ভোটে জিতে যা অত্যাচার চলছে, সেসব সহ্য করতে না পেরে মতামত দিচ্ছেন। বহু মানুষ এসেছিলেন, বিজেপির জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে। কর্মীরা এক রয়েছেন”
প্রসঙ্গত এদিন বেলা ৩টে থেকে তৃণমূল ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে রয়েছেন মুকুল রায়। আজই পুত্র শুভ্রাংশু সহ তিনি যোগ দেবেন তৃণমূলে এমন সম্ভাবনায় রয়েছে অতিমাত্রায়। আর এই প্রসঙ্গেই কার্যত কথা এড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। দিল্লি ঘনিষ্ঠ নেতাদের উপর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতাদের। এমনকি মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও জাননি মুকুল রায়। মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা দেবী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা কালিনও বিজেপির কেউ খোঁজ নেননি, এমন অভিযোগও উঠেছিল আগেই। এমনকি বিগত কয়েকদিনে মুকুল রায়ের অফিস থেকে উধাও হয়েছে নরেন্দ্র মোদী এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি। যার ফলে আজকের এই বৈঠকের পর মুকুলের ঘর ওয়াপসি যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। বাংলায় বিজেপির উত্থানের পিছনে যে একটি বিরাট অবদান রয়েছে সে ব্যাপারে একমত মোটামুটি সমস্ত পর্যবেক্ষকরাই। তাই মুকুলের পদ্মশিবির ত্যাগ যে বিজেপির জন্য একটি বড়সড় ধাক্কা হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য ।