নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কুন্তল ঘোষই। মিথ্যা অভিযোগ করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। চাঞ্চল্যকর দাবি বলাগড়ের বেতাজ বাদশা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আদালতে যাওয়ার পথে শান্তনুর দাবি “মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। ওই সবাইকে এইভাবে ডাইভার্ট করছে। আর ওর টাকাগুলো অন্যদিকে সাইড করছে। অন্য স্টেটে পাঠাচ্ছে। আপনারা খোঁজ নিন।” এর আগে শান্তনু দাবি করেছিলেন তিনি কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় এবং তিনি কোন টাকা নেননি এবং কাউকে দেনও নি।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিলাসবহুল রিসর্ট, ধাবা, বাগানবাড়ি, হোমস্টে, গাড়ি, বাড়ি আরও কত কী! ইতিমধ্যে শান্তনুর দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ফোন দুটি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে ঈদের নজরে শান্তনুর ফোনের কথোপকথন। এসবের মধ্যে আজ শান্তনুকে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হলে আদালতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি শান্তনুর মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেন৷ এর ব্যাখ্যাও দেন ইডি-র আইনজীবী৷
ইডির দাবি, শান্তনুর আই ফোন থেকে এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থী প্রায় তিনশো জনের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি পাওয়া গিয়েছে৷ অনেকের ছবিও মিলেছে শান্তনুর মোবাইলে৷ ইডি-র এ দিন আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি করে এবং জেরা করে যে তথ্য মিলেছে, তাতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও যোগসূত্র মিলেছে। কোন জাদু বলে মাত্র কয়েক বছরে শান্তনুর এই রকেট গতিতে উত্থান, সেই প্রশ্নও তোলেন ইডি-র আইনজীবী৷
উল্লেখ্য, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ইডি আধিকারিকরা উদ্ধার করেছেন ৷ যেখানে চাকরি বিক্রির বদলে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনকি সরকারি ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের পছন্দসই জায়গায় বদলি করাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনটাই ইডি সূত্রে খবর ৷