নন্দীগ্রাম দিবসে ফের একবার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে অস্বীকার করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের অবস্থা সিপিএমের মতো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিন সকালে প্রথমে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে অধিকারী পাড়ায় শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রীর ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। এখানে কি যুদ্ধ হবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাইকোর্ট, সাজো সাজো রব। মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না।”
এদিন ফের একবার নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর গলায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, “এমনিতেই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি, বাকি যা আছে সাফ করব। সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করব৷ আগামী বছর দেখা হবে। তখন ভাইপো বাইরে থাকবে না ভিতরে থাকবে। লক্ষ্মণ শেঠদের যা অবস্থা হয়েছে, আপনাদের অবস্থাও তাই হবে।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। গোকুলনগর থেকে সোনাচুড়ায় শহিদ বেদীতে গিয়েও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। নন্দীগ্রাম দিবস পালনের অনুমতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এবারেও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এ দিন সকালে দু’ ঘণ্টা শহিদ স্মরণের অনুমতি পায় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও গোকুলনগরের অনুষ্ঠান হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নামে।