নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর:
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড জয় করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের ছেলে রাজীব নন্দী। পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা পার্শ্ববর্তী রামনগরেই বাড়ি রাজীবের। বহু প্রতিভার অধিকারী রাজীব আবৃত্তি, নাটক, বক্তব্য, বিতর্ক, অঙ্কন, সংবাদ পাঠ, প্রবন্ধ ও কবিতা লেখা সব বিষয়েই জেলা থেকে রাজ্য স্থরে রয়েছে পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত ৫০ টি পুরস্কার (বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মিলে) ও একদিনে সর্বোচ্চ ১০ টি পুরস্কার পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এর পুরস্কার জিতে নিয়েছে রাজীব। বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সহ বি.এড ট্রেনিং শেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তরে কর্মরত। সাথে সাংবাদিকতা নেশা। ছোটো বেলা থেকেই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নেশা। সব বিষয়ে অংগ্রহন করে প্রায় ১০০০ (এক হাজার) এর ও বেশি পুরস্কার জিতেছে বছর ৩০এর রাজীব। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড পাওয়ার পর রাজীবের পরবর্তী লক্ষ্য এশিয়া বুক অফ রেকর্ডের দিকে, পরবর্তীতে গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম তুলতে চায় রাজীব। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতেও অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রচুর পুরস্কার জিতেছে রাজীব।
রবীন্দ্রভারতীর বাংলা বিষয়ের ছাত্র হওয়ায় কবিতা গল্প নাটক লেখা সমানতালেই চলছে। তার লেখা নাটক জেলা ও রাজ্যে প্রশংসিত। মঞ্চে অভিনয় চার্লি চ্যাপলিন, রাজা কাসেমের ভূমিকায় আবার কখনো ডিটেকটিভ। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে রাজীব উৎসাহ পেয়েছে বাবা রবীন্দ্রনাথ নন্দী ও মা মঞ্জুলা নন্দীর কাছ থেকে। শিক্ষকদের মধ্যে এই সাংস্কৃতিক জগতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন রামনগর বি.এড কলেজের অধ্যাপক পার্থ প্রতিম মাল, ও রামনগর কলেজের অধ্যাপক বিশ্বব্রত মহাকুর। এই সাফল্যে পরিবার থেকে গ্রাম ও এলাকাবাসী খুবই খুশি। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী রাজীবের সাফল্যের জন্য ২০১৮ সালে রুপোর স্মারক দিয়ে সম্বর্ধনা দিয়ে ছিলেন। বর্তমান পরিস্তিতি তে রাজীব এর মত সাংস্কৃতিক ধারাই পারে মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতে। আই এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।