করোনাকালে বিপুল ক্ষয় ক্ষতির মুখে পড়ে ভেঙে গেছে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। ভারতের বর্তমান জিডিপি মাইনাস৭.৪ শতাংশ। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অর্থনীতিতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। তাই এবার ভারতীয় অর্থনীতির থেমে যাওয়া চাকাকে সচল করতে একাধিক রিলিফ প্যাকেজ নিয়ে এল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। আজকের এই ঘোষণায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মোট ৮ দফায় আজকের এই ঘোষণা করা হয়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-28-at-17.43.05-1024x577.jpeg)
মুদ্রাস্ফীতি এড়াতে সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলি অবলম্বনের জন্য বেশকিছু সংগঠিত এবং বহুমুখী স্কিম নিয়ে আসলেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে ও বিপুল পরিমানের সংগঠিত এবং বহুমুখী স্কিম নিয়ে আসা হয়েছিল অর্থ মন্ত্রকের তরফে। তবে এই স্কীমের সহযোগিতায়, ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় তা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। তাই এবার এই বৃহত্তর ধাক্কা সামলাতে বেশকিছু সর্বজন মুখি প্যাকেজ নিয়ে আসা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
১) এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারেন্টি স্কিমে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে। জানা যাচ্ছে এই স্কিমের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ গ্রাহককে ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রকের তরফ এই খাতে বরাদ্দ অর্থ ৩ লক্ষ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৪ লক্ষ কোটি করা হল।
২) অন্যান্য খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ করা বৃদ্ধি করে করা হল ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই খাত থেকে ৮.২৫ বার্ষিক সুদে ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
৩) স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সচল করতে ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে। এছাড়াও পেড্রিয়াটিক বেড এবং শিশুদের চিকিৎসা স্বার্থে ২৩ হাজার ২২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করল অর্থমন্ত্রক।
৪) আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ২০২১ সালের ৩০ জুন থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে।
৫) করোনায় প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্যও বড় ঘোষণা অর্থ মন্ত্রকের, ১.১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক।
৬) ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনশিল্পকে পুনরায় সচল করতে বড় ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক। প্রথম পাঁচ লক্ষ টুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক,এছাড়াও সামান্য কিছু শর্তেই ১০০ শতাংশ গ্যারান্টিতে মিলবে এই খাতে ঋণ।
৭) প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সময়কাল বৃদ্ধি করার ঘোষণার পাশাপাশি এই প্রকল্পে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক।
৮) সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে-৮৫ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
পুষ্টিকর খাদ্যের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়িয়ে করা হল ৪২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
এনপিকে জাতীয় সারের জন্য-৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ।
ডিএপির জন্য -৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ।