রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মরসুমে উত্তাপ বেড়েই চলেছে|একে অপরের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছে, কুরুচিকর মন্তব্য করছে| রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা কমিশনের আদর্শ লঙ্ঘন করছে, তাই ২৪ ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সভায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন| এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর উত্তরেও সন্তুষ্ট নন নির্বাচন কমিশন। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার মঙ্গলবার বিজেপি নেতা রাহুলের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, রাহুলের উপর ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। চতুর্থ দফা ভোটে কোচবিহারের শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস দেয়।তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। মমতার প্রচারের নিষেধাজ্ঞা জারির পরই শুভেন্দুর উত্তরে ‘অসন্তুষ্ট’ কমিশন তাঁকে সতর্ক করে। কমিশন সূত্রে খবর,মমতাকে নিয়ে শুভেন্দুর করা মন্তব্য নিয়েই এই সতর্কবার্তা। এর পরই রাহুলের প্রচারের উপর ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ্যে আসে। শীতলখুচির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি।এই পরিস্থিতিতে রবিবার হাবড়ার চোংদা মোড় থেকে বাণীপুর পর্যন্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে রোড শো করেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল। ওই রোড শো শেষে রাহুলের কাছে শীতলখুচির ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শীতলখুচিতে ৪ জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ৪ জনকে মারল, তার জন্য বরং শো কজ করা উচিত তাদের।’’ শনিবার চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলখুচিতে জওয়ানের গুলিতে ৮ জন বিদ্ধ হন, তাঁদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত ৪ জনকে উল্লেখ করেই রাহুল এমন মন্তব্য করেছেন|আর সে জন্যই নির্বাচন কমিশনের এহেন সিদ্ধান্ত|