নয়া বছরের অপেক্ষায় দিন গুনছেন বিশ্ববাসী। যদিও ইংরেজি নববর্ষের বিষয়টি মূলত পালন করা হয়ে থাকে প্রাশ্চাত্যের দেশগুলিতেই। তবে দিনে দিনে যেভাবে প্রাশ্চাত্যের ধারা প্রাচ্যের সঙ্গে মিশে চলেছে, তাতে মিডনাইট পার্টি, বিচ পার্টি ,পুল পার্টি, খুব স্বাভাবিক কয়েকটি বিষয় হয়ে উঠেছে ভারতীয়দের জন্য। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের দিনটিতে দেশের বিভিন্ন সী বিচ গুলিতে পার্টি করতে হাজির হন দেশের অগণিত যুবক-যুবতীরা। গোয়া থেকে শুরু করে আন্দামান, ওদিকে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সী বিচগুলি থেকে শুরু করে ব্যাঙ্গালোরের বিভিন্ন সী বিচ , সবেতেই ভিন্ন তালে এবং ভিন্ন স্বাদের উদযাপন করা হয় নিউ ইয়ার। তবে গত দু’বছরে করোনাকালীন পরিস্থিতির জন্য নিউ ইয়ারের এই বীচ পার্টিতে বিশেষ জাঁকজমক দেখতে পাওয়া যায়নি কোথাওই।

বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে নিউ ইয়ারের এই উদযাপন এক অনন্য মাত্রা এনে দেয় বিভিন্ন বীচগুলিকে। গোয়ার আরাম্বল, আনুজা, মোরজিম, বাগা এই প্রত্যেকটি সমুদ্রতট সেজে ওঠে রংবেরঙের লাইটে । কোথাও মাদকের ফোয়ারা তো কোথাও ডিজের ম্যাশআপ। পুরনো বছরের সমস্ত ক্লান্তি গুলিকে দূর করে নতুনের ছোঁয়ায় সেজে উঠতে দেখা যায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষকে। বলে যায় বাগা বিচ ভারতের অন্যতম একটি পরিচ্ছন্ন সমুদ্রতট। প্রতিবছর নিউ ইয়ারের আগেই স্কুবা ডাইভিং থেকে শুরু করে প্যারাসেইলিং, উইন্ডসার্ফিং কাইট সার্ফিং ,ওয়েকবোর্ডিং প্রভৃতি অ্যাক্টিভিটি করতে দেখা যায় মানুষকে। এছাড়াও কেরালার আল্লাপূজহা, মারারি, কোভালাম প্রভৃতি সী বিচ গুলোতে জনস্রোত দেখতে পাওয়া যায় এই দিনে। রাত বারোটার আগে অব্দি নাচে গানে মেতে থাকতে দেখা যায় সকলকে, তবে রাত্রি বারোটা বাজার কিছুক্ষণ আগে থেকেই কাউন্টডাউন শুরু হয় একটি ঘড়িতে। তারপরেই ঠিক রাত বারোটার সময় একে অপরকে নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন।এই ভাবেই পুরনো স্মৃতি ভুলে নতুন স্মৃতিকে জায়গা করে দেওয়ার জন্যই জনসমুদ্রে মিশে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা।