করোনা পরিস্থিতিতে বেসামাল গোটা দেশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্যগুলি। হাজার হাজার মৃতদেহ ভাসছে নদীতে, জায়গা নেই শ্মশান বা কবর স্থানেও।কার্যতই মৃতের স্তুপে পরিনত হয়েছে গোটা দেশ। সঙ্কটজনক অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেরও। বাংলায় গত বেশ কিছুদিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাঘুরি করছে দৈনিক কুড়ি হাজারের কাছাকাছি। রোজই মারা যাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণা করেছে মমতার সরকার। যার ফলে স্তব্ধ জনজীবন। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই হঠাৎ বদলে যায় ছবিটা। নারদা কান্ডে ফিরহাদ হাকিম,মদন মিত্র,শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাংলা। করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন শত শত তৃনমুল কর্মী সমর্থক। জায়গায় জায়গায় জমায়েত করে চলে বিক্ষোভ, ধর্ণা। তাঁদের অধিকাংশের মুখেই ছিলনা মাস্ক, মানা হয়নি কোনোরকম দূরত্ব বিধিও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতারির পর তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয় যে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলবে তা। কিন্তু ‘আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখায়’ কথায় থাকলেও কাজে কোথাও সারাদিন দেখা গেলনা তা। রাজ্যে বন্ধ সমস্ত রকম গণপরিবহন ব্যবস্থা। ই-পাস ছাড়া চলতে দেওয়া হচ্ছেনা কোনোরকম গাড়িই। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমস্ত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েতেও এই পরিস্থিতিতে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে কীভাবে একত্রিত হলেন এত মানুষ? কেন পুলিশ প্রথমেই আটকালোনা তাঁদের? বার বার উঠছে এহেন প্রশ্ন। আজকের এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকাও। কেন মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন জানালেন না কর্মী সমর্থকদের এই প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে। করোনা বিধি ভেঙে আজকের এই জমায়েতের ফলে রাজ্যে আরও বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আপাতত এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।