প্রাথমিক শিক্ষকের পর এবার রাজ্যের দমকল বিভাগের নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। আগের প্যানেল থেকে দমকলে কোনো নিয়োগ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। উপযুক্ত সার্টিফিকেট নেই অথচ খেলার কোটায় কেউ চাকরি পেয়েছেন। আবার সংরক্ষিত আসনে জেনারেল চাকরি প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নিয়োগ মামলা দায়ের হলে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে ২০১৮ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল।
মূলত ২০১৮ সালের জুন মাসে ১ হাজার ৫ শো জন দমকল কর্মী নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই প্যানেলই পুরো বাতিল হল । হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা করে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে হবে পিএসসিকে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফে। ২০৩ জন চাকরি প্রার্থী দমকলের বেনিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের করেন। তাদের অভিযোগ, লিখিত পরীক্ষায় একই নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত শূন্যপদের তালিকায় জেনারেল প্রার্থীদেরও নাম তোলা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ভুলত্রুটি নিয়েও তারা অভিযোগ করেন। তবে প্রতিটি অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ।
এদিকে আবার রাজ্যে শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষাকর্মী নিয়োগেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশে ১০০জন পরীক্ষার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। যেখানে ৯৪ জনের ওএমআর শিটে নম্বর শূন্য, কমিশনের সার্ভারে ৪৩। বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫জনের প্রাপ্ত নম্বর ১, কমিশনের সার্ভারে ৪৩। অথচ এই ১০০ জনের মধ্যে ৫০জনই পেয়েছেন নিয়োগপত্র। আর বাকি ৫০ জনের নাম আছে ওয়েটিং লিস্টে। তাদের মধ্যে আবার বেশিরভাগকেই দেওয়া হয়েছে চাকরির সুপারিশপত্র। সব মিলিয়ে মোটামুটি পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরগরম রাজনৈতিক মহল। লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে দানা বেঁধেছে জোর বিতর্ক।
আরও পড়ুন