প্রকৃতির কী খামখেয়ালিপনা। একদিকে যখন দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তীব্র গরমে হাসফাস অবস্থা। আকাশের পানে চেয়ে চাতকের মত বৃষ্টির প্রতীক্ষা করছে তখন উত্তরবঙ্গের গা লাগোয়া পড়শি রাজ্য সিকিম অতিবৃষ্টিতে নাজেহাল। অতি বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। পরিস্থিতি এমন যে গোটা দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুং-লাচেনের মতো বহু জায়গা।
প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি হয়েছে ৬ জনের। সিকিমে বিপর্যয়ের কারণে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমের কারণ বহু মানুষ এখন দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বেড়াতে গিয়েছেন। পর্যটকদের জন্য বিকল্প পথ জানিয়ে দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। আপাতত ছোট গাড়ি মানসং, ১৭ মাইল, আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। বড় এবং ভারী গাড়ি পেডং, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া আসা করবে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক বসে যাওয়ায় তাঁদের সঙ্গে পরিজনদের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে উত্তর সিকিমে। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। তবে তিস্তা বাজার এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানাল প্রশাসন। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে কালিম্পংয়ের চিত্রেতে বৈঠক করেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। অন্যদিকে, ছোট গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সিকিমগামী জাতীয় সড়ক খোলা থাকলেও ধসের আশঙ্কায় অধিকাংশ গাড়িই ওই পথে চলছে না। লামাহাটা হয়ে পেশক রোড দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া বা দার্জিলিং থেকে এই পথে সিকিম, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা এদিনও বন্ধই থাকছে।