এবার থেকে সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেলের মত নিউজ পোর্টালকেও স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবিধানের ৭৭ নম্বর ধারার ৩ নম্বর শাখার ১৯৬১ সালের আইনকে সংশোধন করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সরকারি নির্দেশে জারি করে বলা হয়েছে ডিজিটাল বা অনলাইন মিডিয়া, চলচ্চিত্র এবং অডিও-ভিস্যুয়াল প্রোগ্রাম, সংবাদকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন। এসবের অধীনে রয়েছে ইউটিউব চ্যানেলগুলিও। বর্তমানে ব্যস্ত সিডিউলে মানুষ বাসে, ট্রেনে ট্রামে মুঠো ফোন বা অফিসে কাজের ফাঁকে কম্পিউটারে একক্লিকেই খবর তথা নিজের চারপাশের পরিবেশের খবরাখবর নিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আর যে মাধ্যমে এক ক্লিকেই খবরের দুনিয়ায় পা রাখছে মানুষ তাই হল নিউজ পোর্টাল। অথচ এতদিন দেশে ওয়েব নিউজ পোর্টালগুলির কোনও সরকারি স্বীকৃতিই ছিল না।
বর্তমানে, প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রিন্ট মিডিয়াগুলির তত্ত্বাবধান করে। আর নিউজ চ্যানেলগুলির দায়িত্বে রয়েছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ওয়েব পোর্টাল এতদিন অভিভাবকহীন হয়েই পড়েছিল। তবুও সংবাদপত্র, টেলিভিশনকে টেক্কা দিতে বিদ্যুৎগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল সে। ২০১৯ সালে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর বলেছিলেন, অনলাইন নিউজেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত, যা প্রিন্ট এবং বৈদ্যুতিন মিডিয়া এবং ফিল্মগুলির ক্ষেত্রে রয়েছে। সেই মোতাবেক বুধবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অন্যদিকে অন্যান্য রাজ্যে নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা সরকারি স্বীকৃতি পেলেও এরাজ্যে তা না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের কাছে পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হতো তাঁদের। তবে এবার কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে সেই সমস্যা লাঘব হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।