এ রাজ্যে একুশের বিধানসভা ভোটকেই যেন পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। বাংলার সাধারণ মানুষকে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। কিন্তু ২রা মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর স্বপ্নভঙ্গ হয় বিজেপির। বিপুল সংখ্যক গরিষ্ঠতা লাভ করে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি-মমতা প্রকাশ্য সংঘাত আর কারোরই অজানা নয়। তৃণমূলের সামনে লক্ষ্য আপাতত দিল্লি জয়। তৃণমূলের অনেক শীর্ষ নেতৃত্বের মুখেই শোনা গিয়েছে ‘দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি’ স্লোগানও। ২০২৪কে লক্ষ্য করে তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের মোদি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে দল।
মসনদ জয়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দেশের বিজেপি বিরোধী সমমনস্ক প্রায় প্রতিটি দলকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ করে চলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস, এনসিপি, সপা, শিবসেনা, আপ, ডিএমকে-র মত দল আপাতত গাঁট ছড়া বেঁধেছে তৃণমূলের সাথে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী প্রধান দল হিসেবে নিজেকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায় তৃণমূল যা আজকে তৃণমূলের মুখপত্র দৈনিক ‘জাগো বাংলা’র একটি প্রতিবেদন থেকে কার্যতই স্পষ্ট। আজকের সেই প্রতিবেদনটির শিরোনাম – ‘রাহুল গান্ধী পারেননি, মমতাই বিকল্প মুখ’। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপিকে পরাস্ত করতে কংগ্রেসের হাত ধরলেও বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ ও মোদির বিকল্প রূপে নিজেকেই তুলে ধরতে চাইছেন মমতা। কংগ্রেসের অন্দরমহলে এই ঘটনার কিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় এখন শুধু তাই দেখার প্রতীক্ষায় রাজনৈতিক মহল।