বঙ্গ ভোটের ফলাফলের প্রায় ১ মাস পর নিজেদের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে বসেছিল CPIM । আর তার ফলেই অভিযোগ পালটা অভিযোগে কার্যতই মাছের বাজার হয়ে উঠল বামেদের ভার্চুয়াল বৈঠক। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলার নেতারা। শনিবার রাতে রাজ্য থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে ভার্চুয়াল বৈঠক করে সিপিএম। আর এই বৈঠকেই চলল আলোচনার বদলে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ আর দায় ঝাড়ার পর্ব। তবে এই ভোটের ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে সিপিএম যে রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধিতার পথে হাঁটা খানিকটা কমাবে এমনটাই খবর আলিমুদ্দিন সূত্রে। শনিবারের বৈঠকে জেলা স্তরে কোনোরকম আলোচনা না করেই কংগ্রেস বা আইএসএফের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন জেলা গুলির নেতারা।
তাঁদের দাবী আইএসএফের সঙ্গে ভোটের ফলে রাজ্যে আরও খারাপ হয়েছে সিপিএমের ভাবমূর্তি। যা কিনা রাজ্যে লাল শিবিরের ভরাডুবির অন্যতম কারণ। যদিও নিজে থেকে জোট ভাঙতে যাবেনা সিপিএম একথাও এদিন সাফ জানিয়ে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিছুদিন আগেই সিপিএমের পন্থার বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি লাল শিবির। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেদের রণকৌশল না বদলালে এ রাজ্যে যে প্রশ্নের মুখে লাল শিবিরের অস্তিত্ব, এদিনের এই বৈঠকের মতানৈক্যে তা একপ্রকার স্পষ্ট। বলা বাহুল্য গতকালের বৈঠকের পর রাজ্যে সিঁদুরে মেঘই দেখছেন শীর্ষস্থানীয় কমরেডরা।