বুধবার বাজেটের জবাবী ভাষণে বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাসায় আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারকেও কটাক্ষ করেছেন৷ মোদি মত প্রকাশ করে বলেন, যে ১০ বছর ইউপিএ জোট সরকার দেশ চালিয়েছে, সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে৷ সেই সময়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি৷
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘কেউ কেউ ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না৷ ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুর্নীতি দেখে ভারত৷ শেষ ন’বছর ধরে সারা দেশে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ চালু হয়েছে৷ সারা পৃথিবীতে এটিই তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ তৈরির দেশ৷ সেই উন্নতি কেউ কেউ সহ্য করতে পারছে না৷’
সংসদে দেওয়া জবাবি ভাষণে একের পর এক বাক্যবান ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ নাম করে কংগ্রেসকে আক্রমণ, আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধীকেও। বলেন, ‘বিভিন্ন বিরোধীদলগুলির উচিত ইডিকে ধন্যবাদ জানানো৷ কারণ তাঁরা এই বিরোধী গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে৷’
বিরোধীদের তুমুল কটাক্ষ করে লোকসভায় মোদী দাবি করেন, সংবাদপত্রের শিরোনাম, টিভিতে দেখানো মুখের কারণে মোদীর উপর দেশবাসীর আস্থা গড়ে ওঠেনি। সেই আস্থা গড়ে উঠেছে মোদী সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কারণে। মোদির কথায়, ‘সংবাদপত্রের শিরোনাম থেকে মোদীর উপর আস্থা তৈরি হয়নি, টিভিতে জ্বলজ্বল করা মুখ থেকে মোদীর উপর এই আস্থা তৈরি হয়নি। প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করে দিয়েছি। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি।’
আদানি বিতর্ককে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার লোকসভায় ঝড় তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই আবহে বুধবার লোকসভায় বক্তৃতা দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আদানি ইস্যুতে একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। সরাসরি না হলেও রাহুলকে এদিন খোঁচা দিতে ছাড়লেন না মোদী। তিনি বলেন, ‘নিজেদের স্বভাব, চরিত্র অনুযায়ী সবাই নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছেন। সেইসব বক্তব্য যদি ভালোভাবে শোনেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে কার যোগ্যতা কত, কার লক্ষ্য কী। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যে ঘটনার জন্য গর্বিত, তাতে কয়েকজন মানুষ দুঃখিত। এই ধরনের মানুষদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত।’ গান্ধী পরিবারকে খোঁচা দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ নিজের পরিবারের জন্য বাঁচছেন। মোদী তো দেশের ১৪০ কোটি মানুষের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে। এটাই আমার রক্ষাকবচ।’