ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির নব্য নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভবানীপুরে দলীয় এক প্রার্থীর মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন সুকান্তসহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। পুলিশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে রাস্তার উপরেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ধূর্জটি ওরফে মানস সাহার মৃত্যু হয়। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য ঠাকুরপুকুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মানস। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বিজেপির অভিযোগ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্র থেকে বের হতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি-রড-ইট দিয়ে মেরে মানসের মাথা ফাটিয়ে দেয়। মাস দু’য়েক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস। ফের কিছু দিনের মধ্যে তাঁর শরীর খারাপ হয়। আবার তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বুধবার ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬১ বছরের মানসের।
এরপরেই বিজেপি-র নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ অর্জুন সিংহ, ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল মানসের দেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরেই পুলিশ সেই মিছিল আটকালে শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি খন্ডযুদ্ধ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির অদূরে মানসের দেহ রাস্তায় রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সুকান্তেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই বুধবার ভবানীপুরে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন সুকান্ত। ফের বৃহস্পতিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।