করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমনের মুখে পড়ে নাজেহাল গোটা দেশ, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের দিকে। তবে তার আগেই এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন মুকেল আম্বানি, রতন টাটা এবং নবীন জিন্দলের মতো শিল্পপতিরা। মুকেশ আম্বানি হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার । দেশের মানুষের জন্য নিজের সর্বোচ্চ শুভকামনা এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ তাঁদের জামনগর রিফাইনারিতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদন করছে। তবে রিলায়েন্সের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে খুব শীঘ্রই উৎপাদন ১০০০ মেট্রিক টন করা হবে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সংস্থার কর্মী ও পরিবারের ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সদস্যদের জন্য টিকাদান কর্মসূচিও শুরু করতে চলেছে রিলায়েন্স। তবে এই প্রথমবার নয় ,করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ও, নিজের কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী পরিবার। সংস্থার বোকারো, ভিলাই, রাউরকেল্লা, দুর্গাপর ও বার্নপুর প্লান্টে এই অক্সিজেন তৈরি কাজ চলছে।
শুধু রিলায়েন্স গ্রুপ নয় পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে এসেছে টাটা গ্রুপ। টাটা গ্রুপের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, তরল অক্সিজেন বহন করার জন্য ২৪ টি কন্টেনারের ব্যবস্থা তাঁরা করেছেন ইতিমধ্যেই। শুধু তাই নয় এই কন্টেনারের গুলির মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। নবীন জিন্দল বলেছেন, তাঁদের রায়গড়ের প্লান্টে অক্সিজেন উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারকে প্রতিদিন ১০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করবে তাঁরা। জেএসডব্লু স্টিলের তরফে সজ্জন জিন্দল বলেছেন, তাদের মহারাষ্ট্র প্লান্টে প্রতিদিন ১৮০–৪০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। যা মহারাষ্ট্র সহ অন্য রাজ্য পাঠানো হবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সমস্ত শিল্পপতিদের এভাবে এগিয়ে আসায় ভারত আস্তে আস্তে আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে । হয়তো আগামী দিনে এই সকল শিল্পপতিদের হাত ধরেই আবার প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেবে ভারত এবং ভারতবাসী।