বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রকে নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশে, বিদেশে। এরই মাঝে এবার ইঙ্গিতবহ মন্তব্য শোনা গেল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর গলায়। শনিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ক্যারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে এনসিসির সমাবেশে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, “দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। এই আবহে ভারতকে এগিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” তবে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “দেশের জনগণের মধ্যে যতই বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হোক না কেন, দেশের মানুষ সর্বদা একজোট থাকবেন। মায়ের কোলে কখনও বিভেদ তৈরি করা যায় না।”
একইসঙ্গে তিনি দেশের যুবশক্তির উপর ভরসা রাখার কথাও বলেছেন। যদিও নিজের বক্তব্যের কোনও অংশেই বিবিসির তৈরি ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ ডকুমেন্টারির নাম সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন।
পাশাপাশি মোদী বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশবিদ্যা প্রতিরক্ষা সহ একাধিক ক্ষেত্রে যুব সমাজকে প্রচুর সুযোগ দিচ্ছে। তাঁদের উচিত উন্নত ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের কেরিয়ারে মনোনিবেশ করা।”
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে দিল্লিতে। প্রথমে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে তৈরি বিবিসির এই তথ্যচিত্র স্ক্রিনিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এসএফআই। কিন্তু, বামপন্থী এই ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, স্ক্রিনিংয়ের আগেই লোডশেডিং হয়ে যায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। তথ্যচিত্র স্ক্রিনিং ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় জামিয়ার ক্যাম্পাস চত্বরেও। তবে মুম্বইয়ের টি আইএসএস ক্যাম্পাসে তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং হয়।
শুধু দিল্লিই নয়, কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যচিত্র স্ক্রিনিংয়ের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নর অভিযোগ ওঠে। তবুও ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র দেখাতে সক্ষম হয় প্রেসিন্ডেন্সির ছাত্র সংগঠন। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখানো হয়েছে বিবিসির এই তথ্যচিত্র।