নন্দীগ্রাম মামলায় ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হল মুখ্যমন্ত্রীর।এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম মামলায় বিচারপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। তবে বিজেপির সঙ্গে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রয়েছে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের! এমনই অভিযোগ তোলে রাজ্য তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে এই মামলা থেকে সরে যান বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। তবে তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন মহামান্য আদালতকে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই পাঁচ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে বার কাউন্সিলে। করোনার সেবামূলক কাজে লাগানো হবে এই টাকা এমনটাই জানা যায় আদালতের তরফে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে বিচারপতি জানান, ‘যদি একজন আইনজীবী কোনও দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে না। একজন বিচারপতিও সাধারণ মানুষ। তাঁরও কাউকে ভাল লাগতে পারে। তবে কাজের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।’ এছাড়াও তিনি বলেন, একজন বিচারপতি কোন দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও তার প্রভাব কোনভাবেই বিচারব্যবস্থায় আসবেনা। যদিও আদালত থেকে ধার্য জরিমানার বিষয় বিরোধিতা করে তৃণমূল। একজন সাংবিধানিক প্রধানকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের নেতা শেখ সুফিয়ান। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে আদালতের মুখ্যমন্ত্রী তরফের আইনজীবী বলেন, ‘২০২১ সালের এপ্রিলে কৌশিক চন্দকে স্থায়ী বিচারপতি করার জন্য চিঠি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তখন আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ওই বিচারপতি বিজেপির সক্রিয় সদস্য। অতএব তিনি পক্ষপাতদুষ্ট। পরিশেষে অনুরোধ করছি, পক্ষপাত এড়ানোর জন্য মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হোক।’