ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে নাজেহাল গোটা রাজ্য। তার ওপরে একের পর এক রেল কর্মীদের আহত হওয়ার খবর সামনে আসছে। তাহলে কি বাতিল হতে পারে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ । ইতিমধ্যেই বেস কিচেনের একাধিক কর্মীরা সংক্রমিত হয়েছেন। ফলে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তায় পড়েছেন রেল মন্ত্রক। রেলের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই একাধিক কর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে কয়েকদিন ধরে ।
ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০ পার করে গিয়েছে।হাওড়া ডিভিশনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫০ পার করে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে কেবলমাত্র পরিষেবার ঠিকমতো দিতে না পারার জন্য । পাশাপাশি করোনা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ওদিকে বিভিন্ন বেস কিচেনে আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক রোগী তার মধ্যে বিশেষ করে কয়েকটি রেল স্টেশনের বেস কিচেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শিয়ালদহ বেস কিচেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন কর্মী। হাওড়া বেস কিচেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন কর্মী। এছাড়া মালদা বেস কিচেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। নিউ জলপাইগুড়ি বেস কিচেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। ডাইনিং কারে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
আই আর সি টি সি’র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র জানিয়েছেন, “আমরা সমস্ত নিয়ম মানছি। প্রতি মুহূর্তে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে সব কিছু। মাস্ক, ফেস কভার সব ব্যবহার করছেন আমাদের কর্মীরা। তারপরেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে আমাদের চিন্তায় রেখেছে যে বিষয়টি তা হল আমাদের স্বল্প বয়সী কর্মীরা আক্রান্ত হলেন।” বর্তমানে সমস্ত রেলখাদ্য পরিষেবাই চলছে হাওড়া কিচেন থেকেই। সেখানেই অল্প সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে পুরোপুরি সেবা দেওয়ার চেষ্টায় তৎপর রয়েছেন রেলমন্ত্রক।