দেশে বাড়াতে হবে অপ্রচলিত শক্তির পরিমাণ। পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। একযোগে কাজ করতে হবে জনগণকে, বললেন ভারতীয় শিল্পপতি ও রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আন্তর্জাতিক জলবায়ু শীর্ষ সম্বেলনে এমনটাই দাবি করলেন তিনি। তিনি আরও জানান,পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস খুঁজে বের করতে হবে। ভারত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে অন্যান্য দেশের মতো।
শ্রী আম্বানি ঘোষণা করেন, ৭৫ কোটি টাকা শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স। ক্লিন এনার্জির ক্ষেত্রেও জোর দেবেন তারা। গত বছর এই গোষ্ঠী জানায় ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে হ্রাস করে একেবারে শূন্যে নিয়ে আসা হবে। উল্লেখ্য এই ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণের ফলেই বাড়ছে দূষণ আর রোগের প্রাদুর্ভাব। দেশে অতি মাত্রায় প্রচলিত শক্তির ব্যবহারে সংকট দেখা দিতে পারে শক্তির। এই সম্বেলনে শক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার যে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কু প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বাড়ছে তাপমাত্রা, বিরল রোগের শিকার হচ্ছে মানুষ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জীব কুলের অস্তিত্ব রক্ষার মরিয়া চেষ্টা চলছে। এসব কিছুর মুলে রয়েছে প্রচলিত শক্তির বিপুল ব্যবহার। তাপবিদ্যুৎ পরমাণু শক্তির বহুল প্রয়োগ।
মুকেশ আম্বানির কথায়, শক্তির উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে। জলবায়ু সম্বেলনে এটাই অঙ্গীকার করলেন তিনি। জীব ভস্মের উৎস থেকে তৈরি হবে জৈব শক্তি। যে লক্ষ্যের দিকে ভারত এগোচ্ছে তাতে পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তির প্রয়োগ বেশি করতে হবে। আর গবেষণা ও ইচ্ছে থাকলে এই কাজ সহজেই সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী আম্বানি।